হিটলার নায়ক না খলনায়ক ?


হিটলার শব্দটি শুনলে মনে হয় একজন ব্যক্তি যে অসম্ভব চালাক এবং তীক্ষ্ণ বদবুদ্ধি সম্পন্ন।  কিন্তু
আসলেই কি তাই। চলুন জেনে নেওয়া যাক হিটলার সম্পর্কে কিছু অজানা কথা।
হিটলার দুটি কথা মনে প্রাণে মানতেন যে,  "History is written by the victors." এবং
"The victor will never be asked if he told the truth."
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি পরাজিত হয়। আর এ জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস লেখার দায়িত্ব পাই
ব্রিটেন, ফ্রান্স। এবং বলা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য একমাত্র হিটলার দায়ী।  কিন্তু সত্য ইতিহাস বলে
অন্যকথা। হিটলার তার দেশের জন্য ছিল নায়ক।  হিটলারের প্রতিটি কাজের পেছনে তার দেশের
মানুষের সমর্থন ছিল। ছিল প্রবল দেশপ্রেম।  




সচ্ছল পরিবারের সন্তান ছিলেন না। তাকে সংগ্রাম করেই জার্মানির হাল ধরতে হয়েছে।  জার্মানির জন্যে
যুদ্ধ করলেও তিনি জাতিগতভাবে জার্মান ছিলেন না। হিটলার অস্ট্রিয়া তে জন্ম গ্রহণ করেন।
এডলফ হিটলার ছিলেন একজন জার্মান রাজনীতিবিদ। তিনি নাৎসি বাহিনীর প্রধান এবং ১৯৩৩ থেকে
১৯৪৫ পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর ছিলেন। ১৯১৩ সালে, প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সময় যখন তিনি জার্মান
আর্মিতে ছিলেন তিনি জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টিতে যোগ দেন।এবং ১৯২১ সালে  এর বড় নেতা হন। এবং
মিউনিখ এ ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেন।  কিন্তু তিনি ব্যর্থ এবং গ্রেফতার হন। ১৯২৪ সালে জেল থেকে
ছাড়া পাওয়ার পর তিনি বাগ্মিতা, নাৎসি প্রপাগান্ডা, ইহুদি বিদ্বেষ এবং বিরোধী কমিউনিজম প্রচার করে
বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি সর্বদা ইহুদি ষড়যন্ত্র আন্তর্জাতিক পুঁজিবাদ ও কমুনিজমের নিন্দা
করেছেন।১৯৩৩ সালে নাৎসি বাহিনী পরিণত হয় জার্মানির সবচেয়ে বড় নির্বাচিত রাজনৈতিক দল এবং
৩০ জানুয়ারী ১৯৩৩ সালে তিনি জার্মানির চ্যান্সেলর হিসাবে নিযুক্ত হন।হিটলার এর অন্যতম প্রধান
লক্ষ্য ছিল ইহুদিদের জার্মানি থেকে বিতাড়িত করা। আর এ নীতির জন্যই তিনি হয়ে ওঠেন দ্বিতীয় বিশ্ব
যুদ্ধের ভিলেন অথবা হিরো ।তার আক্রমণাত্মক আচরণ কেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাথমিক কারণ বলে
মনে করা হয়।তিনি ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৯ সালে সমরাস্থসহ বিরাট এক সৈন্যদল তৈরি করেন এবং
পোল্যান্ডকে আক্রমণ করেন। যার ফলশ্রুতিতে ব্রিটেন এবং ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
'মাইন ক্যাম্ফ'(১৯৪৫ ) হিটলারের আত্মজৈবনিক গ্রন্থ। বইটি ২০১৬ সালের বেস্ট সেলার বই। এখানে
জানা গেছে হিটলারের মতাদর্শ এবং জীবন কাহিনী যা মানুষের মন কে হিটলার সম্পর্কে আর একবার
ভাবতে বাধ্য করেছে। ১৯৪৮ পৃষ্ঠার বইটি হিটলারের মূল রচনা, টিকাটিপ্পনীসহ প্রকাশ করে মিউনিখের
কনটেম্পোরারি হিস্ট্রি নামে একটি সংস্থা।
হিটলারের একটি বিখ্যাত উক্তি আছে। There is but one moment when the Goddess of
Fortune wafts by, and if you don’t grab her by the hem, you won’t get a second
chance. Goddess of fortune ১৯১৪ সালেই হিটলারকে রাষ্ট্রস্বীকৃত জার্মান হবার সুযোগ করে দেয়।
সুযোগটি হল ১ম বিশ্বযুদ্ধ। 

হিটলারের জনপ্রিয় উৎসাহ মূলক উক্তি হলো--
“ আমি তোমাদের ভালোবাসায় না গিয়ে যুদ্ধে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি,
কারন যুদ্ধে তুমি হয় বাঁচবে না হয় মরবে,
কিন্তু ভালোবাসলে না পারবে বাঁচতে না পারবে মরতে ”

লেখকঃ মোঃ আসিফ জোয়ারদার ।


READ MORE: Mysterious Cave




Post a Comment

0 Comments