অসহায় কাকে বলে ? যার কিছু নেই সেই কি অসহায় ? অসহায় শব্দটির ইংরেজি কিছু প্রতিশব্দ বলি
helpless, reliant, vulnerable, incapable, powerless, needy, weak, defenceless
ইত্যাদি । কলিনস্ এর ইংরেজি অভিধানে বলা হয়েছে , “If you are helpless, you do not have
the strength or power to do anything useful or to control or protect yourself. “
helpless, reliant, vulnerable, incapable, powerless, needy, weak, defenceless
ইত্যাদি । কলিনস্ এর ইংরেজি অভিধানে বলা হয়েছে , “If you are helpless, you do not have
the strength or power to do anything useful or to control or protect yourself. “
আসলেই তাই । আমরা যখন অসহায় হয়ে পড়ি তখন আমরা নিজেদের জন্য কিছুই করতে পারি না ।
অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয় । যতটুকু সম্ভব অসহায় মানুষকে নিজের শক্তি,সাহস ও মনোবল দিয়ে
সাহায্য করা ঊচিৎ । আমাদের চারপাশে অনেক অসহায় মানুষ আছে । শুধু টাকা পয়সা না থাকলেই
মানুষ অসহায় হয় না । যাদের অনেক টাকা পয়সা আছে তারা ও ক্ষেত্র বিশেষে অসহায় হয় । সব
মানুষের অসহায়ত্বের ধরন এক না । মানুষ বিভিন্ন কারনে অসহায় হয় যখন কারো কিছু করার থাকে না।
আবার কিছু কিছু সময় অনেক কিছু করার থাকে তখন যদি আমরা সেসব অসহায় মানুষগুলো কে সাহায্য
না করি তাহলে জ্ঞানপাপী হয়ে যাব । আসলে আমার খুব কষ্ট লাগে অসহায় মানুষদের জন্য । সবসময়
চাই যতটুকু পারি ওদের সাহায্য করতে ।
অসহায়ত্বটাকে বিভিন্নভাবে উপলব্ধি করলাম ।
অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয় । যতটুকু সম্ভব অসহায় মানুষকে নিজের শক্তি,সাহস ও মনোবল দিয়ে
সাহায্য করা ঊচিৎ । আমাদের চারপাশে অনেক অসহায় মানুষ আছে । শুধু টাকা পয়সা না থাকলেই
মানুষ অসহায় হয় না । যাদের অনেক টাকা পয়সা আছে তারা ও ক্ষেত্র বিশেষে অসহায় হয় । সব
মানুষের অসহায়ত্বের ধরন এক না । মানুষ বিভিন্ন কারনে অসহায় হয় যখন কারো কিছু করার থাকে না।
আবার কিছু কিছু সময় অনেক কিছু করার থাকে তখন যদি আমরা সেসব অসহায় মানুষগুলো কে সাহায্য
না করি তাহলে জ্ঞানপাপী হয়ে যাব । আসলে আমার খুব কষ্ট লাগে অসহায় মানুষদের জন্য । সবসময়
চাই যতটুকু পারি ওদের সাহায্য করতে ।
অসহায়ত্বটাকে বিভিন্নভাবে উপলব্ধি করলাম ।
(১) একজন মানুষের সব আছে কিন্তু নিজের আনন্দটা ভাগ করার মত পাশে কেউ নাই সে ও কিন্তু
অসহায় ।
(২) গত কয়েকবছরে মানুষের বাসায় কাজ করেও ঋণগ্রস্ত বাবাকে মুক্ত করতে পারেনি অসহায় মেয়েটা ।
আমার বাসার helping hand খালা যে তার বাবার ঋণের দায়ে কখনো ঈদে নিজের মনের মত পোশাক
কিনে পরতে পারে না । চেষ্টা করেছিলাম মানুষটার পাশে দাঁড়াতে । একটু হাসি ফোটাতে তার মুখে ।
সেবার ঈদে আমার যাকাত হয়েছিল বেশ কিছু টাকা । আমি চিন্তা করলাম একে দুইশত, তাকে চারশত
এভাবে জনে জনে টাকা দেয়ার চেয়ে একজন মানুষের পাশে দাঁড়াই যাকে আমি চিনি এবং যিনি বিপদগ্রস্ত ।
সুতরাং আমি যাকাত এর সাথে নিজের কিছু টাকা দিয়ে তার বাবাকে ঋণমুক্ত করার চেষ্টা করেছিলাম সেবার ।
(৩) এ জগতের সবচাইতে কঠিন অসহায় একটি সময় যখন এ দুনিয়ার কারোরই কিছু করার থাকে না ।
আমি সেই অসহায়ত্ব দেখেছিলাম আমার বোনের নিবু নিবু চোখ দুটোতে । আমার বোনের বয়স চৌত্রিশ
সবে শেষ হয়েছে । দুইটি ছেলেমেয়ে । একসাথে থাকতাম দুবোন মিলে । সন্ধ্যার দিকে বোন বাইরে ঘুরতে
গিয়েছিল । আমি আর আমার বর বাসায় । এশার আযানের সময় বাসার বেল বাজালো । আমিই এলাম
দরজা খুলতে । রুমে ঢুকতেই বোন বলল, “আমার অবস্থা খুব খারাপ । শ্বাস নিতে পারছি না ।” ওকে ধরে
তাড়াতাড়ি বেড রুমে বসালাম । ভালো মানুষটা আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে । আমি
কাঁদছি বোনের কষ্ট দেখে । ডাক্তারকে ফোন দিলাম । এরই মাঝে শুনতে পাচ্ছি আপা বলছে, “আমি মারা
যাচ্ছি ।” আমি একবার ড্রয়িং রুম আরেকবার বেড রুমে ছুটছি । কী করব বুঝতে পারছিলাম না ।
হাতদুটো আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো আপা । জড়িয়ে ধরে আমায় কাঁদলো । ঐ মুহূর্তে আমার জন্য
দেখলাম দোয়া ও করছে । কোনো মানে বুঝলাম না । একটু পরেই দেখলাম শরীরটা বিছানায় হেলিয়ে
দিল । আমি বললাম , “আপা চল ।গাড়ি নিয়ে আসছে তোকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।” সে করূন দৃষ্টিতে
আমার দিকে তাকিয়ে বলছে, “ আমি হাঁটতে পারি না ।” টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে উঠালাম । চোখদুটো বন্ধ
তাঁর । আট মাসের অন্তসত্ত্বা আমি । কোনোরকম আপাকে আমার কোলে ধরে রেখেছি । গাড়ি চলছে ।
পাঁচ মিনিট পর আপার দিকে তাকিয়ে দেখি ঠোঁটদুটো সরু করে ফেলেছে ,চোখটা একটু মেলেছে । অজস্র
নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে ছিল যেন । কী করুন ছিল তার চাহনি । হাত দুটো মুষ্টি করে ছেড়ে দিল জোড়ে
একটা শ্বাস নিয়ে । তাকিয়ে ছিলাম আপা তখন আমি তোর দিকে । বুঝতে পারিনি সেটা যে তোর শেষ
নিশ্বাস ছিলো । এতো অসহায় ছিলি তুই, এতো অসহায় ছিলাম আমি, কিছুই করতে পারলাম না । তোকে
ধরে রাখতে পারলাম না । চলে গেলো আমার আপা এই পৃথিবী ছেড়ে । আর আমি দেখলাম কয়েক মুহূর্তের
মধ্যে আপার শরীরটা প্রাণবিহীন থলথলে মাংস হয়ে গেলো । দেখলাম মানুষের জীবনে চরম
অসহায় সময় ।
আমি সেই অসহায়ত্ব দেখেছিলাম আমার বোনের নিবু নিবু চোখ দুটোতে । আমার বোনের বয়স চৌত্রিশ
সবে শেষ হয়েছে । দুইটি ছেলেমেয়ে । একসাথে থাকতাম দুবোন মিলে । সন্ধ্যার দিকে বোন বাইরে ঘুরতে
গিয়েছিল । আমি আর আমার বর বাসায় । এশার আযানের সময় বাসার বেল বাজালো । আমিই এলাম
দরজা খুলতে । রুমে ঢুকতেই বোন বলল, “আমার অবস্থা খুব খারাপ । শ্বাস নিতে পারছি না ।” ওকে ধরে
তাড়াতাড়ি বেড রুমে বসালাম । ভালো মানুষটা আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে । আমি
কাঁদছি বোনের কষ্ট দেখে । ডাক্তারকে ফোন দিলাম । এরই মাঝে শুনতে পাচ্ছি আপা বলছে, “আমি মারা
যাচ্ছি ।” আমি একবার ড্রয়িং রুম আরেকবার বেড রুমে ছুটছি । কী করব বুঝতে পারছিলাম না ।
হাতদুটো আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো আপা । জড়িয়ে ধরে আমায় কাঁদলো । ঐ মুহূর্তে আমার জন্য
দেখলাম দোয়া ও করছে । কোনো মানে বুঝলাম না । একটু পরেই দেখলাম শরীরটা বিছানায় হেলিয়ে
দিল । আমি বললাম , “আপা চল ।গাড়ি নিয়ে আসছে তোকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।” সে করূন দৃষ্টিতে
আমার দিকে তাকিয়ে বলছে, “ আমি হাঁটতে পারি না ।” টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে উঠালাম । চোখদুটো বন্ধ
তাঁর । আট মাসের অন্তসত্ত্বা আমি । কোনোরকম আপাকে আমার কোলে ধরে রেখেছি । গাড়ি চলছে ।
পাঁচ মিনিট পর আপার দিকে তাকিয়ে দেখি ঠোঁটদুটো সরু করে ফেলেছে ,চোখটা একটু মেলেছে । অজস্র
নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে ছিল যেন । কী করুন ছিল তার চাহনি । হাত দুটো মুষ্টি করে ছেড়ে দিল জোড়ে
একটা শ্বাস নিয়ে । তাকিয়ে ছিলাম আপা তখন আমি তোর দিকে । বুঝতে পারিনি সেটা যে তোর শেষ
নিশ্বাস ছিলো । এতো অসহায় ছিলি তুই, এতো অসহায় ছিলাম আমি, কিছুই করতে পারলাম না । তোকে
ধরে রাখতে পারলাম না । চলে গেলো আমার আপা এই পৃথিবী ছেড়ে । আর আমি দেখলাম কয়েক মুহূর্তের
মধ্যে আপার শরীরটা প্রাণবিহীন থলথলে মাংস হয়ে গেলো । দেখলাম মানুষের জীবনে চরম
অসহায় সময় ।
(৪) অসহায় সেই বাবা মা যারা নাকি শত চেষ্টা করেও নিজের ছেলে মেয়ে কে বোঝাতে পারে না বা সঠিক
পথে আনতে পারে না । সবশেষে , এই বলে শেষ করি আমরা মানুষগুলো এ দুনিয়ার সবচাইতে অসহায়
প্রাণী যারা শীত এলে কাপড় ছাড়া চলতে পারে না, ক্ষুধা নিবারনের জন্য আদিম যুগ থেকে এখনো খেটেই
যাচ্ছে , একটু আঘাত পেলে শরীর দিয়ে রক্ত ঝড়ে, তারপরও কত অহংকার আমাদের , আমরা সেই
মানুষ ।
পথে আনতে পারে না । সবশেষে , এই বলে শেষ করি আমরা মানুষগুলো এ দুনিয়ার সবচাইতে অসহায়
প্রাণী যারা শীত এলে কাপড় ছাড়া চলতে পারে না, ক্ষুধা নিবারনের জন্য আদিম যুগ থেকে এখনো খেটেই
যাচ্ছে , একটু আঘাত পেলে শরীর দিয়ে রক্ত ঝড়ে, তারপরও কত অহংকার আমাদের , আমরা সেই
মানুষ ।
লেখা : নাঈমা শেখ লিজি
Read More: Mysterious Cave
0 Comments