গোটা বিশ্বকে গোলাম বানানোর জন্য ৫০ বছরের এক মহা-পরিকল্পনা

 বর্তমান সময়ে ফিলিস্তিনে রক্তপাত, সৌদি আরবে চক্রান্ত, ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়াসহ মুসলিম বিশ্বের প্রতিটি কোনায় কোনায় যে অশান্তি বিরাজ করছে নাপাক ইহুদী কর্তৃক তার বীজ বুনা হয়েছিলো আজ থেকে ১১২ বছর আগে। ১৮৯৭ সালের ১৭ই জুন বেলজিয়ামের ব্রাসেলস শহরে ইহুদীদের প্রথম বিশ্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে তাদের আধ্যাত্মিক নেতা তিওর্দা হারাটিজিল সভাপতিত্ব করে। সেই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০ টি ইহুদী সংগঠনের ৩০০ জন ইহুদী বুদ্ধিজীবি অংশগ্রহন করে। কঠোর গোপনীয়তার মাধ্যমে তারা গোটা বিশ্বকে গোলাম বানানোর জন্য ৫০ বছরের এক পরিকল্পনা গ্রহন করে।


তাদের ঘৃন্য পরিকল্পনা সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী ব্যতীত আর কেউ জানত না। এ পরিকল্পনাকে জায়নিস্ট প্রটোকল বলে নথিভুক্ত করে। কিন্ত এক ফরাসী মহিলা তার ইহুদী বুদ্ধিজীবি প্রেমিকের কাছ থেকে গোপনে এক কপি সরিয়ে ফেলে। ঐ মহিলা জায়নিস্ট প্রটোকলের সেই কপি ১৯০১ সালে রুশ সরকারকে দিয়ে দেন। জায়নিস্ট প্রটোকলটি হিব্রু ভাষায় লিখা ছিল। রুশ সরকার এ প্রটোকলের অনুবাদ করে। নিন্মে তা তুলে ধরা হল:
১) মানুষের উপর শাসনকার্য পরিচালনা করা একটি মহান কাজ। একমাত্র ইহুদীরাই এ দায়িত্ব পালনের যোগ্য।
২) ইহুদীদের উচিৎ সকল প্রকার প্রচার মাধ্যম, প্রেস, প্রকাশনা ও সিনেমার উপর আধিপত্য বিস্তার ও নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করা।
৩) ইহুদীদের এই প্রচেষ্ঠা করা উচিৎ যে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের বড় বড় রাজনীতিবিদরা হবে তাদের দাবার গুঁটির মত। যখন তখন যেন ইচ্ছেমত তাদের ঘুরানো যায়, এ জন্য তাদের কিনে ফেলতে হবে।
৪) স্বর্ণ যেন ইয়াহুদীদের হাতে থাকে। এ জন্য কার্যকরী ভূমিকা নিতে একটি কমিটি করা হল।
৫) আমেরিকার সহায়তা করা আমাদের একান্ত কর্তব্য। আমেরিকার মাধ্যমে ইউরোপকে নিয়ন্ত্রন করা হবে।
৬) একমাত্র ইহুদীরা প্রভূর কাছে পছন্দনীয়। বাকি সবাই পথভ্রষ্ট। এজন্য সারা দুনিয়াকে নিয়ন্ত্রনের ভার প্রভু আমাদের দিয়েছেন। এ প্রচেষ্টায় আমাদের সকলকে উজার করে দিতে হবে।
৭) গোটা বিশ্বকে শাসন করার সহজ পথ হচ্ছে উগ্রতা, শক্তি, জবরদস্তি, ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
৮) রাজনৈতিক স্বাধীনতা একটি প্রতারনা ও প্রবঞ্চনা মাত্র। বাস্তব সত্য নয়। ক্ষমতাসীন ব্যক্তি বা দলকে অপসারন করার জন্য জনগনকে দলে শামিল করা দরকার। আর ঐ উদ্দেশ্যকে সিদ্ধির জন্যই স্বাধীনতার এই কাল্পনিক রূপকে কখন কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা জেনে নেওয়া হচ্ছে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। স্বাধীনতা এমন এক চিন্তা যার কোন অস্তিত্ব নেই। বিভিন্ন অনৈক্য ও মতানৈক্য উসকে দেওয়া প্রয়েজন যাতে আমরা সামাজিক অস্থিরতার সুযোগ নিতে পারি।
৯) রাজনীতিবিদদের সৎ চরিত্র আমাদের বিপদের কারণ হবে। এজন্য রাজনীতিবিদদের সৎ চরিত্র আমাদের কিনে নিতে হবে।
১০) যে সকল রাষ্ট্র আমাদের অধীনে বা বলয়ে আসবে না, তাদের দেশে যে কোন উপায়ে যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে হবে।
১১) মনে রাখতে হবে শক্তিই পৃথিবীতে একমাত্র সত্য।
১২) কোন দেশ একটি ছোট-খাট চুক্তিও যেন আমাদের হস্তক্ষেপ ও সহযোগীতা ছাড়া করতে না পারে।
১৩) অর্থনীতির চাবি যে কোন মূল্যে আমাদের হাতে থাকতে হবে।
১৪) আমাদের পথে যে-ই বাধাঁ হয়ে দাড়াবে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে হবে।
১৫) শত্রুর মোকাবেলার জন্য আমরা সকল উপায় উপকরন গ্রহন করব। আমরা আইনের সুন্দর সুন্দর ধারা তৈরী করব এবং তা দ্বারা শত্রুদের মোকাবেলা করব। এজন্য উকিল, রাজনীতিবিদ ও উপদেষ্টাদের সাহায্য নেয়া জরুরী।

Post a Comment

0 Comments